শিরোনাম
Passenger Voice | ০৪:০৯ পিএম, ২০২২-০৩-১৭
টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে দুই মাস আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ। পরে কিছুটা বাধ্য হয়েই নিজের থেকে ৪৫ বছরের ছোট রিবা আক্তারকে বিয়ে করেন ষাটোর্ধ্ব আব্দুর রাজ্জাক। একদিকে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে রিবার চাপ, অন্যদিকে ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা করেন রাজ্জাক।
স্ত্রীর চাপ থেকে মুক্তি আর ভাই ও ভাতিজাকে হত্যা মামলায় ফাঁসাতে খুন করে রিবাকে। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের এমন লোমহর্ষক ঘটনা। ঘটনার দুই দিন পর ডিবির জালে ধরা পড়ে ঘাতক রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই মাস আগে গাজীপুরে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় গার্মেন্টসকর্মী রিবা আক্তারের। নরসিংদীর মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের অটোচালক দুলাল মিয়ার মেয়ে রিবার সঙ্গে পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা চলে, বাড়ে সখ্যতাও। এক পর্যায়ে রিবাকে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ ও এক পর্যায়ে বিয়ে করেন রাজ্জাক। বিয়ের পর রাজ্জাকের গাজীপুরের গাছা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় যাতায়াত ছিল তরুণীর।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ১৫ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে এক যুবকের জন্মনিবন্ধনের কাগজ পায় তারা। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেওয়া আব্দুর রাজ্জাক তার ভাতিজা ও ভাইকে ফাঁসাতে গাজীপুর থেকে রিবাকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া কংশ নদের পাশে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখে।
পরে ভাতিজার জন্ম নিবন্ধনের কাগজ মরদেহের পাশে ফেলে রাখে রাজ্জাক। ওই জন্মনিবন্ধনের সূত্র ধরে যুবক শহিদুল্লাহকে আটকও করে পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার মূল হোতা আব্দুর রাজ্জাককে দুইদিন পর বুধবার (১৬ মার্চ) অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে ঘাতক রাজ্জাক। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.